২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলন, পুরে আন্দোলন জুড়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ছিল অবাধ অংশগ্রহণ। আন্দোলন জুড়ে শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতা, সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয়া এমনকি যৌন হয়রানি অভিযোগ তুলে ৫৬ জন শিক্ষকের ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যার ফলে শিক্ষকেরা ক্লাসে আসতে পারছেন না, এই সব শিক্ষকদের বেশিরভাগই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সঙ্গে যুক্ত।
জানা যায়, আইন অনুষদে চারজন শিক্ষক, ব্যবসায় অধ্যয়ন অনুষদে ১৩ জন শিক্ষক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১২ জন শিক্ষক, শিল্প অনুষদে ১২ জন শিক্ষক, জীববিজ্ঞান অনুষদে ৪ জন শিক্ষক, বিজ্ঞান অনুষদে ১ জন শিক্ষক, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে ২ জন শিক্ষক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং হোম ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউটে ২ জন শিক্ষক এবং চারুকলা অনুষদে ৪ জন শিক্ষক ক্লাস নিতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শিক্ষকদের মধ্যে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং চাকরি ফিরে পাওয়া থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবি।
টানা ৮৩ দিন পর গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ম বর্ষ ব্যতীত ক্লাস শুরু হয়। ৮ দিনের মাথায় শুরু হয় প্রথম বর্ষের ক্লাস ছাত্র-জনতার। আন্দোলন শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতা, সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয়া, এমনকি যৌন হয়রানি অভিযোগ তুলে অনেক বিভাগেই শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ক্লাসে ফেরেন না। পরে দাবি মুখে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ক্লাস বর্জনের বিষয়ে লিখিত চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকদের ক্লাসে ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে না নেয়ার বিষয়ে এখনো অনড় অবস্থানে শিক্ষার্থীরা। যদিও দাবি মেনে নেয়া নিয়মিত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা এখন সন্তুষ্ট এবং তারা নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিভাগে একটা চিঠি পাঠিয়ে তাদের অবহিত করেছি এবং বিভাগে কয়েক সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিয়েছিলাম। সেখানে অনেকগুলো দ্বন্দ্বের মীমাংসা হয়েছে। যেগুলো তাতেও সমাধান হয়নি, সেগুলো আমরা ডিনের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। যদি তাতেও সমাধান না হয়, তাহলে আমরা একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে সেটির মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করছি।